সড়কের বেহাল দশা, লাখো মানুষের ভোগান্তি | দেশবার্তা নিউজ

সড়কের বেহাল দশা, লাখো মানুষের ভোগান্তি

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ওই সড়কের বিষয়টি আমি জেনেছি। সংস্কার প্রকল্পের আওতায় আনতে কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, ২৪ কিলোমিটার সড়ক এক সঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে পর্যায়ক্রমে আসছে অর্থ বছরে ওই সড়ক সংস্কার করা হবে।

#সড়ক

বরগুনা জেলার উপকূলীয় উপজেলা আমতলী-তালতলী যোগাযোগের একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটি হজারো খানাখন্দে ভরপুর।

৩৫ কিলোমিটার সড়কের এখন বেহাল দশা। এতে উপকূলীয় দুই উপজেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের।

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ওই সড়কের বিষয়টি আমি জেনেছি। সংস্কার প্রকল্পের আওতায় আনতে কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, ২৪ কিলোমিটার সড়ক এক সঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে পর্যায়ক্রমে আসছে অর্থ বছরে ওই সড়ক সংস্কার করা হবে।

জানা গেছে, আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক। দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মেলবন্ধন এ সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের যাতাযাত। এছাড়াও সোনাকাটা ইকোপার্ক ও ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ওই সড়কের ২৪ কিলোমিটার হাজার হাজার ঢোবা ও খানাখন্দে ভরপুর। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সোনাকাটা ইকোপার্ক পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এতে রাজাস্ব হারাচ্ছে সরকার। ওই সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, কড়াইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার ও তালতলী সেতু থেকে ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক ঢোবা ও খানাখন্দে ভরপুর।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, কড়াইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার ও তালতলী সেতু থেকে ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক ঢোবা ও খানাখন্দে ভরপুর। ওই সড়কের প্রতি ২০-৩০ গজ দূরত্বে রয়েছে ঢোবা ও বড় বড় খানাখন্দ রয়েছে। ঢোবায় ও খানাখন্দে গাড়ি আটকে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের ইট-পাথরের সুরকি বের হয়ে মাটি উঠে গেছে। খানাখন্দের গর্তে গাড়ির চাকা দেবে যাচ্ছে। কাঁদা মাটিতে মিশে সড়ক একাকার হয়ে গেছে।

তালতলী উপজেলার ব্যবসায়ী মো. শামিম পাটোয়ারী বলেন, সড়ক যেনো হাজারো খানাখন্দের সমাহার। সড়ক দিয়ে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

তারিকাটা এলাকার শহীদুল ইসলাম ও বাহাদার বলেন, গত এক বছর ধরে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন দেখেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।

আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে সংস্কার প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#সড়ক