ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
সার্বজনীন বদলি কার্যক্রমে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তারা বলছেন, জারিকৃত নীতিমালায় শুধু এনটিআরসিএর সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দিয়ে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে সনদধারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শিক্ষকদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তাদের সনদ দিয়েছিলো এনটিআরসিএ। তবে জারি করা বদলি নীতিমালায় শুধুমাত্র ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পরে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তরা সুযোগ পাবেন। এ নিয়ে নীতিমালা জারির পর থেকেই সনদপ্রাপ্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন।
ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষকদের চাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শিক্ষকদের মাঝে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টি করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য বদলির প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে যা চরম বৈষম্যমূলক।
এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষককে বদলির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে যা শিক্ষকদের মাঝে চরম বিভাজন ও হতাশা তৈরি করেছে। এমনকি বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলি সুযোগ বঞ্চিত এবং বদলি সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাঝে চরম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে, একে অপরের প্রতি বিষবাক্য ছুড়ছেন, মনে হচ্ছে এ যেনো একটা গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে যা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকি স্বরুপ।এমন পরিস্থতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালার বৈষম্য নিরসন ও সংশোধন করে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত (সনদপ্রাপ্ত) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বদলি চালু করা প্রয়োজন যা শিক্ষাব্যবস্থায় আনন্দঘন পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।