প্রতীকী ছবি
২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের পবিত্র রমজান মাস ও দুই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। জ্যোতির্বিদরা তাদের হিসাব অনুসারে সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক খালিজ টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র আগামী বছরের সম্ভাব্য রমজান ও দুই ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে। আরবি হিজরি ক্যালেন্ডারের মাসগুলো ২৯ থেকে ৩০ দিন স্থায়ী হয় এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি প্রতি মাসের শেষে চাঁদ দেখার জন্য একত্রিত হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদেরও এতে অংশ নিতে উৎসাহিত করে।
জ্যোতির্বিদরা জানান, মহররম মাসের চাঁদ দেখা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুন দেখা যেতে পারে। ফলে হিজরি ১৪৪৭ নববর্ষ ২৬ জুন শুরু হবে। আমিরাতের সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এই উপলক্ষে বাসিন্দারা একটি সরকারি ছুটি পাবেন।
২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে রমজান মাস ফেব্রুয়ারির তুলনামূলক ঠান্ডা আবহাওয়ায় পড়বে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক পালিত এই পবিত্র মাস প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ দিন পিছিয়ে যায়। এই বছর রমজান শুরু হয়েছিল ১ মার্চ। চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রমজান মাস ২৯ বা ৩০ দিন স্থায়ী হয়।
পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে চাঁদ ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যেতে পারে। ফলে পবিত্র রমজান মাস বিশ্বের কিছু অংশে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চাঁদ ১৮ ফেব্রুয়ারি দেখা যাবে এবং রোজা শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
শাওয়াল মাসের শুরুতে চাঁদ দেখা রমজান ২৯ বা ৩০ দিন স্থায়ী হওয়ার উপর নির্ভর করে। ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঈদুল ফিতরের চাঁদ ১৯ মার্চ দেখা যাবে। ফলে ২০ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হবে। পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে চাঁদ একদিন পরে দেখা যাওয়ায় এই তারিখ ভিন্ন হতে পারে।
ঈদুল আজহা হিজরি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জিলহজের ১০ম দিনে পালিত হয়, যা ইসলামের পবিত্রতম দিন আরাফার দিনের (জিলহজ ৯) পরের দিন। এই উৎসবে মুসলিমরা নবী ইব্রাহিমের ত্যাগের স্মরণে পশু কোরবানি করে এবং অভাবীদের মধ্যে মাংস বিতরণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে জিলহজ মাসের চাঁদ ১৬ মে দেখা যাবে। ফলে জিলহজের প্রথম দিন হবে ১৭ মে। আর পূর্বাঞ্চলে চাঁদ একদিন পরে ১৭ মে দেখা যাবে এবং জিলহজ ১৮ মে শুরু হবে। ফলে আমিরাত ও পশ্চিমাঞ্চলে ঈদুল আজহা ২৬ মে এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে ২৭ মে পালিত হবে।