অনুপস্থিত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানাতে হবে অধ্যক্ষদের | কলেজ নিউজ

অনুপস্থিত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানাতে হবে অধ্যক্ষদের

সরকারি কলেজগুলোর যে সব মূল পদে কর্মরত-সংযুক্ত-ইনসিটু কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সে সব কর্মকর্তার তালিকা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, প্রমাণসহ তথ্য আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব জরুরি।

#শিক্ষা ক্যাডার #অধ্যক্ষ #কলেজ #মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার প্রমাণসহ তথ্য ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পঠাতে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে। এ সংক্রান্ত আদেশ সব কলেজ অধ্যক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি কলেজগুলোর যে সব মূল পদে কর্মরত-সংযুক্ত-ইনসিটু কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সে সব কর্মকর্তার তালিকা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, প্রমাণসহ তথ্য আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব জরুরি।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ১৬ হাজার কর্মকর্তা রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে অনেক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে আবার অনেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিসটিবির) বিতর্কিত সচিব মোসা. নাজমা আখতারকেও বদলি করা টাঙ্গাইলের কুমোদিনী সরকারি মহিলা কলেজে। অভিযোগ রয়েছে তিনি কলেজে যান না। নাজমার বিরুদ্ধে প্রকাশক ও মুদ্রাকরদের কাছ থেকে পার্সেন্টেজ নেয়ার অভিযোগ অনেক দিনের। ছাত্রলীগের নেত্রী পরিচয়ে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রশাসনিক ব্যবস্থা তছনছ করে দিয়েছেন। বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামকে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি।

এনসিটিবির সাবেক একজন সদস্য বলেন, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ফরিদ আহম্মদ, এনসিটিবির সাবেক সচিব মোসা. নাজমা আখতার, সাইদুর রহমান ও রবিউল কবীর অনড় ছিলেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেয়া বই ছাপার কাজ কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না। তিনি বলেন, একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও শিক্ষাখাত ধবংসের হোতা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভাই টিপু ও দীপুর ঘনিষ্ঠ রতন মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন নাজমা। ভারতে বই ছাপানোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নাজমা।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষা ক্যাডার #অধ্যক্ষ #কলেজ #মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর