এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে তৃতীয় দিনের আন্দোলন | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে তৃতীয় দিনের আন্দোলন

আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভায় ২৩ হাজার প্রার্থীকে অনুত্তীর্ণ করা হয়েছে। আগে কোনো ভাইভাতে এতো প্রার্থী বাদ যাননি। আমরা আন্দোলন করার পর গত ১৫ জুন ১১৩ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে ২৩ জুন। আমরা এসব অনিয়ম নিরসন চাই। ভাইভায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থী সনদ চাই।

#এনটিআরসিএ #পদত্যাগ #এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা।

ঢাকার ইস্কাটনে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে মানববন্ধনে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।

আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভায় ২৩ হাজার প্রার্থীকে অনুত্তীর্ণ করা হয়েছে। আগে কোনো ভাইভাতে এতো প্রার্থী বাদ যাননি। আমরা আন্দোলন করার পর গত ১৫ জুন ১১৩ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে ২৩ জুন। আমরা এসব অনিয়ম নিরসন চাই। ভাইভায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থী সনদ চাই।

অনুত্তীর্ণ আরেক প্রার্থী তুলি বলেন, ভাইভায় ২৩ হাজার প্রার্থী বাদ পড়েছেন। আমরা গত ১৫ জুন থেকে আন্দোলন করছি। তার সঙ্গে (এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান) বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শুনতে নারাজ। তাই আমরা তার পদত্যাগ চাই।

চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তার অবর্তমানে এনটিআরসিএর সদস্য মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১৪ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা। একইসঙ্গে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে গত চারদিন ধরে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।

প্রার্থীরা জানান, যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। আমরা যারা ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাইভায় কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে। আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। একই বোর্ডে এত ফেল করানোর যৌক্তিকতা যাচাই করে দেখা দরকার। বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

#এনটিআরসিএ #পদত্যাগ #এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন