কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল | বিবিধ নিউজ

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল

ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী এমভি কীর্তনখোলা-১০ যাত্রীবাহী নৌযানটি গত ৫ জুন রাত এগারোটার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রিজ অতিক্রম করার আগে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, লঞ্চের একটি প্রপেলার ভাঙায় এক ইঞ্জিনে লঞ্চটি চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।

নানা অভিযোগে ও বরিশালে কোস্টগার্ডের দায়ের করা মামলার পর ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের যাত্রীবাহী নৌযান এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে শনিবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বরিশাল নবগ্রাম রোডের মেসার্স সালমা শিপিং লাইন্সের পরিচালনাধীন এমভি কীর্তনখোলা-১০ এর মালিক ও ম্যানেজার বরাবরে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী এমভি কীর্তনখোলা-১০ যাত্রীবাহী নৌযানটি গত ৫ জুন রাত এগারোটার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রিজ অতিক্রম করার আগে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, লঞ্চের একটি প্রপেলার ভাঙায় এক ইঞ্জিনে লঞ্চটি চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এ সংবাদের পর পরিবহন পরিদর্শক এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের দায়িত্বরত ইনচার্জ মাস্টার শুক্কুর এবং ইনচার্জ ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রপেলার ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।

তাৎক্ষণিক পরিবহন পরিদর্শক সম্ভাব্য নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দায়িত্বরত মাস্টার সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার অনিহা প্রকাশ করায় পরিবহন পরিদর্শক বিষয়টি যুগ্ম-পরিচালককে (নৌনিট্রা) অবহিত করেন।

যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সাথে ফোনে কথা বলে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আদেশের আরও উল্লেখ করা হয়েছে, লঞ্চের মাস্টার নির্দেশনা অমান্য করে সিঙ্গেল ইঞ্জিন চালিয়ে নৌযানটি বরিশালের উদ্দেশ্যে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের নৌ-দুঘটনা ঘটা এবং ঈদ-উল-আজহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হতে পারতো। নৌযানের মাস্টারের এমন আচরণ এবং নির্দেশনা অমান্য করায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (নৌ-রুট পারিমট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৯ সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থি। যেকারণে নৌযানটি পরিচালনা করায় লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।