ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ | বিবিধ নিউজ

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় মো. লিটন মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

#ব্যাংক #পুলিশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেসরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় মো. লিটন মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক।

এর আগে, গত রোববার দুপুরে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার সামনে বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটে এবং ওই এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত রোববার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে লিটনকে একমাত্র আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে লিটন পলাতক ছিলেন। তিনি একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার তাকে ধরতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়। অভিযানে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে লিটনের পিছু নেয় আভিযানিক দলটি। একপর্যায়ে তাকে গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আনসার রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করে। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।

ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তার মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তার বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, মামলার পর থেকে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামি ধরার চেষ্টা করে। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

#ব্যাংক #পুলিশ