মাভাবিপ্রবিতে থ্যালাসেমিয়া এ্যাওয়ারনেস সেমিনার | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

মাভাবিপ্রবিতে থ্যালাসেমিয়া এ্যাওয়ারনেস সেমিনার

মাভাবিপ্রবি থ্যালাসেমিয়া এ্যাওয়ারনেস এন্ড স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

#মাভাবিপ্রবি #শিক্ষার্থী

‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) থ্যালাসেমিয়া এ্যাওয়ারনেস এন্ড স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

রোববার (১৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার হলে বায়োটেড ও বায়োটেক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

‎সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মহিউদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সওগাতুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জেনেটিক রোগ। এটি এমন একটি নীরব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশে প্রতি বছর বহু শিশু থ্যালাসেমিয়ার বোঝা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। যার অধিকাংশই সাধারণ জনগণের এই রোগ সম্পর্কে পর্যাপ্ত না জানার কারণে। তাই আজকের এই সেমিনারটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সময়মতো স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকিৎসা নয়, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা ও সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমেই আমরা এ রোগের বিস্তার রোধ করতে পারি।

‎তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা শেখানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আজকের এই ক্যাম্পেইন তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগ, আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি প্রত্যাশা করবো ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে, গ্রামাঞ্চল থেকে শহর পর্যন্ত এ ধরনের সচেতনতা কর্মসূচি ছড়িয়ে দেয়ার। এই সেমিনার থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও বার্তা যেনো আমরা পরিবার, সমাজ এবং দেশের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে পারি সেটিই আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবাইর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক ও বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম এবং প্রক্টর ও বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন।

সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সেমিনার শেষে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রি থেলাসেমিয়া স্ক্রিনিং করার সুযোগ দেয়া হয়।

#মাভাবিপ্রবি #শিক্ষার্থী