ছবি : সংগৃহীত
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আগামীকাল ১৬ জুন প্রকাশ করা হবে। তবে কাল এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও ২২ জুন দুপুর ১২টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এই আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স, নারী কোটা, সনদের বয়সসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসছে।
এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ হতে পারে চলতি বছরের আগস্টে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে প্রার্থীদের আবেদন থেকে শুরু করে বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে। এগুলো শেষ করতে অনেকটা সময় লাগবে। সেই সময় হিসেব করলে চলতি বছরের আগস্টে এই কার্যক্রম শেষ হতে পারে। এরপরে শেষ ধাপ অর্থাৎ শিক্ষক পদে সুপারিশ করা হবে প্রার্থীদের শূন্যপদে আবেদনের প্রেক্ষিতে।
এর আগে একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছিলেন, এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স ধরা হতে পারে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে। অর্থাৎ চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। আর সনদের মেয়াদ ধরা হবে নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হচ্ছে। ‘ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স নিয়ে যে সিদ্ধান্ত’ শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রতিবেদনে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আবেদন করলে এবং সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে এই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৫ মে- এর চিঠির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে কোনো নারী কোটা থাকবে না। এ ব্যাপারে দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশিত ‘শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল যে দিন থেকে’ –এই প্রতিবেদনে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
নিয়োগ সুপারিশে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রাথীকে নিয়োগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়, তবে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও স্থগিত-বাতিলকরণ এবং ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিলকৃত শূন্যপদগুলোর চাহিদা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সংগৃহীত হওয়ায় ভুল চাহিদাজনিত কারণে নিয়োগ সুপারিশে কোনো জটিলতার জন্য এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না। শূন্য পদের তালিকা সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাওয়া যাবে।
এর আগে গত ৪ জুন অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ হাজার ৫২৮ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। বয়স ও সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে উর্ত্তীণ প্রার্থীরা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করা প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান আর শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো।
কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।