ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বোমারু বিমানগুলো হামলা চালানোর পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প।খবর বিবিসির।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানকে এখনই শান্তি স্থাপন করতে হবে। যদি দেশটি সেটা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলা হবে।
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে, আমি বিশ্বকে জানাতে পারি, ইরানে হামলা ছিল অসাধারণ সামরিক সাফল্য।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া। সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেওয়া।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লিখেছেন ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে এবং হামলা শেষে সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে আছে।
এর কিছুক্ষণ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার পোস্ট করেন 'ফোর্দো ইজ গন' অর্থাৎ 'ফোর্দো শেষ।'
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলায় বি-টু বোমারু বিমান জড়িত।
মার্কিন বি-টু স্টিলথ বোমারু বিমানগুলোকে মার্কিন দ্বীপপুঞ্জ গুয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। যার ফলে জল্পনা- কল্পনা শুরু হয় যে বিমানটি ইরানে মার্কিন হামলায় জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান। দেশটির কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, কোম প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্টের মুখপাত্র মোর্তোজা হায়দারি বলেন, ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রের একটি অংশ বিমান হামলার শিকার হয়েছে।
ইসফাহানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপ-গভর্নর আকবর সালেহি বলেছেন, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আমরা ইসফাহান ও নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনার কাছে হামলা দেখেছি।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা করার কথা দাবি করেছেন সেই তিনটি স্থানেই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানিয়ান কর্মকর্তারা।
পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এরই মধ্যে খালি করার কথা জানিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।