শিক্ষা বাজেটে আমরা আশাহত: এহছানুল হক মিলন | বিবিধ নিউজ

শিক্ষা বাজেটে আমরা আশাহত: এহছানুল হক মিলন

আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষা কমিশন হবে, নট সংস্কার কমিশন, শিক্ষার একটি পার্মানেন্ট কমিশন হবে। কিন্তু সেটা হয়নি।

#আ ন ম এহছানুল হক মিলন #শিক্ষা বাজেট #শিক্ষা কমিশন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, এই সরকার অর্থাৎ অধ্যাপক ড. ইউনূসের সরকার শিক্ষাকে প্রধান্য দেবেন- এমন আশা করেছিলাম, কিন্তু দেখলাম বাজেটে খানিকটা সংকোচন হয়েছে, বৃদ্ধি পায়নি। আমরা খুব আশাহত হলাম।

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষা কমিশন হবে, নট সংস্কার কমিশন, শিক্ষার একটি পার্মানেন্ট কমিশন হবে। কিন্তু সেটা হয়নি।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষা ভাবনা বাস্তবায়নে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নতি না করতে পারলে জাতির উন্নতি করবো কীভাবে। বাংলাদেশে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে সে নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকার গঠন করুক না কেনো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত হবে শিক্ষাকে। শিক্ষার মাধ্যমে যদি বিদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে অনেক উন্নতি করা যাবে।ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম শিক্ষা ব্যবস্থাতে যে দুর্নীতিটা রয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে দীপু মনি, কি যেনো দাতের ডাক্তার। তাকে একবার বানানো হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আবার আরেকজনকে বানানো হলো কি নওফেল, বাপ-দাদার চৌদ্দগোষ্ঠীর নামও শুনিনি। শিক্ষাখাতকে হাসিনা ও তার বাবা শেখ মুজিব ধ্বংস করেছে, এই দুইজনেই বেশি শেষ করেছে। আমরা আশাবাদী শিক্ষাব্যবস্থাসহ সব নির্ভর করবে আগামী সরকারের ওপর। আর বিলম্ব না করে নিবার্চন দিতে হবে। মানুষের এখন নির্বাচনের অপেক্ষা করছে।

ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ধরুন ড. তাজমেরি আপা, তাকে শিক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন হিসেবে দেয়া হতো এমন একটি কমিশন, সেটা সংসদীয়ভাবে। সেই কমিশন ওয়াচডক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্যারালাল কাজ করবে- এটা আমার সাজেশন। আমি নিউজিল্যান্ডে দেখেছি এমনটা রয়েছে। আমি সেটার উদাহরণ দিয়ে বললাম। কমিশনের সদস্যরা শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করবেন। এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সফলতা ও দুর্বলতা তুলে ধরবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রতিনিয়ত এ কাজ করবে।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন ৩ মাসের জন্য বা জাতীয় শিক্ষা কমিশন একটি বই লিখে চলে যাবেন, এটা আমরা লাইব্রেরিতে রেখে দেবো- এরকম নয়। এই কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে। প্রতিনিয়ত রিপোটিং করবে। আগামী দিনের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা রয়েছে। এই আবেদনটি আমি এই সরকার আসার পরে বলে আসছি। কিন্তু এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহেলার মন্ত্রণালয় করা হয়, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে এই মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আসেন। তারা আবার চলে যান, এই মন্ত্রণালয়ে থাকেন না। অর্থাৎ বাইরে যাওয়ার জন্য তারা এই মন্ত্রণালয়ে আসেন, সে সুযোগটি নেয়ার জন্য তারা আসেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যারা থাকবেন, তাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থাকতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে তারা এই মন্ত্রণালয়টি চালাবেন। তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই তারা চালাবেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#আ ন ম এহছানুল হক মিলন #শিক্ষা বাজেট #শিক্ষা কমিশন