এক ভাগ কোরবানিতে দুই ভাইয়ের শরিক হওয়া নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ | বিবিধ নিউজ

এক ভাগ কোরবানিতে দুই ভাইয়ের শরিক হওয়া নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ১০ জিলহজ কোরবানি করেন পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা। পরিস্থিতিভেদে জিলহজের ১১ ,১২ তারিখ সুর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করা যায়।

#কোরবানি #ঈদ

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ১০ জিলহজ কোরবানি করেন পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা। পরিস্থিতিভেদে জিলহজের ১১ ,১২ তারিখ সুর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। বর্তমানে প্রচলিত কোরবানির ধারা হজরত ইবরাহিম আ. থেকে চলে আসলেও এর ইতিহাস আরও পুরোনো। পৃথিবীতে প্রথম কোরবানির নিয়ম চালু হয় মূলত আদি পিতা হজরত আদম আলাইহিস সালামের ছেলে হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে। তাদের একজনের কোরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে এবং অন্যজনের কোরবানি কবুল হয়নি। পৃথিবীতে কোরবানির ইতিহাস এখান থেকেই শুরু। কোরবানি নিয়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কোরবানির গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, আলোচক ও সামাজিক কর্মী আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুতে সাত ভাগের এক ভাগের টাকা দুই ভাই মিলে কোরবানি করলে কোরবানি সহিহ হবে না। কারণ এখানে এক ভাগে শরিক হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি। এক ভাগে একাধিক ব্যক্তি শরিক হলে ওই কোরবানি বিশুদ্ধ হয় না। (আদদুররুল মুহতার ৯/৪৫৭)

এটা জায়েজ হওয়ার একটি সুরত এই যে, তাদের একজন অপরজনকে তার টাকার মালিক বানিয়ে দেবে। অতঃপর তিনি নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি করবেন। তাহলে কোরবানি বিশুদ্ধ হবে।

এছাড়া হাদিসে হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজের ইহরাম বেঁধে রওনা হলাম। অতঃপর তিনি উট ও গরুতে আমাদের মধ্যে সাতজন করে শরিক হওয়ার (কোরবানি করার) নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম ১৩১৮, ৩০৪৯)

একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত পাওয়া গেলে অর্থাৎ তাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে, তাদের প্রত্যেকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব।

পরিবারের যত সদস্যের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তাদের প্রত্যেককেই একটি করে পশু কোরবানি করতে হবে কিংবা বড় পশুতে পৃথক পৃথক অংশ দিতে হবে। একটি কোরবানি সবার জন্য যথেষ্ট হবে না।

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

#কোরবানি #ঈদ