মনোয়ার হোসেন। ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
যাতায়াত ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা দেশের অর্থনীতিতে কি পরিমাণ ক্ষতিসাধন করছে তার পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া দুস্কর। যদি শুধু সড়ক ও ঢাকা নগরীর অব্যবস্থাপনায় জড়িত ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলে যে চিত্র পাওয়া যায় তা এক কথায় ভয়ংকর।
কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে অর্থনীতি এগুচ্ছে, তা যত শ্লথই হক না কেন, বিরাট রহস্য হিসাবেই রয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংস্কার যতটুকু জরুরি তা উপলব্ধি সংস্কারবাদী সরকার করতে পারছে কি না সেটা একটি বড় প্রশ্ন।
সম্প্রতি সড়ক এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা একটি সমীক্ষা থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, সরকের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির কারণে বছরে পঞ্চাশ লক্ষ ঘণ্টার অপচয় হয়।
অর্থের হিসাব কষলে প্রায় সাইত্রিশ হাজার কোটি টাকা অপচয় বা ক্ষতি হয়। এই টাকা দিয়ে একাধিক মেট্রোরেল রুট চালু করা সম্ভব। এ থেকে ক্ষতির ভয়াবহতা বুঝতে পারা যায়।
অব্যবস্থা বা নৈরাজ্য অপসারণ করে যাতায়াতে বিশেষ করে সড়কেতে কি শৃংখলা আনা সম্ভব যা একই সাথে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ আনবে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনবে? কাজটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। সর্বাগ্রে এই খাতে একটি সংস্কার প্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও পরিচালনাসহ সড়ক ও সেতু বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম একই ছাদের নিচে আনা প্রয়োজন। যানবাহন চালক ও মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এরজন্য দুই থেকে তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে পারে।
কিন্তু সর্বপরি প্রয়োজন হবে সদিচ্ছার। রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে ঐরকম শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কাজেই উদ্যোগ নিতে হবে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে। বর্তমান সরকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উদ্যোগ নিয়ে এই খাতের কাজ শুরু করলে পরবর্তী সরকার হয়ত চাইলেও পিছিয়ে আসতে পারবে না। কারণ এখানে জনস্বার্থ জড়িত। সরকার কি এই সংস্কারের উদ্যোগ নেবে?
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক