ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

প্রকৌশলীকে মা*রপিট করলো মিস্ত্রি 

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

প্রকৌশলীকে মা*রপিট করলো মিস্ত্রি 

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের নির্মাণাধীন রাঙ্গালীকুটি ব্রিজের স্লাব ঢালাই নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে প্রধান মিস্ত্রিসহ ঠিকাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এসময় এক কর্মসহকারীকে আটকে রাখে মিস্ত্রির লোকজন। পরে পুলিশ এসে ওই সহকারী ও তার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে ওই ব্রিজের স্লাব ঢালাইয়ে কথা ছিলো। এ উপলক্ষে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান, কর্মসহকারী শ্যামল কুমার কুন্ড, তপন কুমার সরকার ও লিটন মিয়া কাজ তদারকিতে আসেন। কাজ শুরুর আগে স্লাব জয়েন্টের বিশেষ পাতের পুরুত্ব ১০ মিলিমিটারের পরিবর্তে ৫ মিলিমিটার দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় লোকজন ঢালাই বন্ধ রাখতে বলেন। এসময় উপ-প্রকৌশলী আতাউর রহমানসহ তার তিনজন কর্মসহকারী মিস্ত্রিকে ঢালাইয়ের অনুমতি না দিয়ে ফিরতে চাইলে তাদের বাঁধা দেন ঠিকাদারের সাইড ম্যানেজার জুয়েল, প্রধান মিস্ত্রি সবুজ মিয়া ও তার সহযোগী মিস্ত্রিরা। এসময় উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে প্রকৌশলীকে কিলঘুষি, লাথি মারতে থাকেন মিস্ত্রি সবুজ মিয়াসহ তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে তাদের চারজনকে আটকে রাখেন তারা। এসময় প্রকৌশলী আতাউর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলায় পাঠান স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

এদিকে কর্মসহকারী শ্যামল কুমার ও তপন কুমার সেখান থেকে সটকে পড়লেও মোটরসাইকেলসহ আটকে পড়েন কর্মসহকারী মিলন মিয়া। পরে কচাকাটা থানার পুলিশ এসে মোটরসাইকেলসহ মিলন মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্মসহকারী শ্যামল কুমার কুন্ড জানান, ঢালাই শুরুর আগে স্লাবের বিশেষ জয়েন্টের পাতের পুরত্ব নিয়ে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় আমরা ফিরতে চাইলে মিস্ত্রি ও ঠিকাদারের লোকজন আমাদের পথ রোধ করে দাঁড়ায় এবং অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এসময় আমাদের উপর কিলঘুষির ঘটনাও ঘটে।

উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, প্রধান মিস্ত্রি সবুজ মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় বেশ কিছু মিস্ত্রি তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন।

অভিযুক্ত প্রধান মিস্ত্রি সবুজ মিয়া মারপিটের ঘটনার কথা অস্বীকার করে জানান, একটু ধাক্কাধাক্বি হয়েছে মাত্র। এর আগেও জয়েন্টের পাত না থাকায় ওই প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছেন। সেদিন আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আজ তাদের পরামর্শে ৫ মিলিমিটার পাত লাগানো হয়েছে। সেই পাতের পুরুত্ব কম হওয়ায় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ভুলে বারবার কাজ বন্ধ রাখলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়। জনগণকে বুঝিয়ে ঢালাই শুরু করতে তাদের পথ আটকানো হয়েছিলো মাত্র।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়