ঢাকা সোমবার, ২৯ মে ২০২৩ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ আর্কাইভস ই পেপার

Udvash
Retina
Retina
Udvash
Retina
Retina

মতামত থেকে আরও খবর

আম রপ্তানি : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন উৎস

আম রপ্তানি : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন উৎস

বিগত কয়েক মৌসুমে রপ্তানিযোগ্য আমের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের আম রপ্তানির ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে এবং এই প্রবণতা চলতি মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হতে পারে, কিন্তু আমের প্রভাবটাই সবচেয়ে বেশি।  ফলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, পুষ্টি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক গুরুত্ব আমাদের সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত। বাংলাদেশি আমের অস্বাভাবিক স্বাদ, বৈচিত্র্য, দীর্ঘ শেল্ফ লাইফ, আকার এবং পুষ্টিগুণ আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন একটি ফল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চার হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে আমের চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া ও মিশরে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করা হয়।

শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড জরুরি

শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড জরুরি

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ব্যতিরেকে স্বাভাবিকভাবে কোন কাজ যথাযথভাবে করা সম্ভব নয়। এই সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। পাশাপাশি পেশার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসাও অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীর পাঠে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শিক্ষার্থীকে সন্তানতুল্য ভাবাটা অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ। তদ্রুপ মহাপরিচালক, সচিব, মন্ত্রীসহ খোদ সরকার প্রধান পর্যন্ত, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের প্রতি ভালবাসা কানায় কানায় পূর্ণ থাকতে হবে। এ ভালোবাসা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে  ১ হাজার বিদ্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন- তাকে সাধুবাদ । এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসারই উজ্জল দৃষ্টান্ত। 

কূটনীতিকদের অযাচিত নিরাপত্তা কতটুকু প্রযোজ্য?

কূটনীতিকদের অযাচিত নিরাপত্তা কতটুকু প্রযোজ্য?

অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূলত যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা বা এসকর্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন, তারা এখন এ সুবিধা পাবেন না। তবে রাষ্টদূতদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গানম্যান তাদের দায়িত্ব পালন করবে। একই সঙ্গে ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিরাপত্তা প্রটোকলে পুলিশের পরিবর্তে এখন থেকে আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

ইতিবাচক পথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন 

ইতিবাচক পথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন 

বর্তমানে বাংলাদেশের  আশ্রয়শিবিরগুলোতে  সাড়ে ১২ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বসবাস করছে। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ এই বোঝা টেনে চলছে যা শেষ হওয়া জরুরি। এর আগে দু’বার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রোহিঙ্গাদের অনীহা ও রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে দাতাসংস্থা ও দেশগুলোর ত্রাণ তহবিলে চাপ পড়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের পরিমাণও কমে এসেছে এবং তা আগামীতে আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা কমে গেলে বাংলাদেশের একার পক্ষে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাদ্য ও আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে না। রোহিঙ্গা  ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও দিনদিন খারাপ হচ্ছে এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংঘটিত নানা ধরনের অপরাধ বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি করছে এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যয় বাড়ছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। বাংলাদেশ সরকার বন্ধু রাষ্ট্র এবং দাতাসংস্থাগুলোর কাছে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে যা এখনো পাওয়া যায়নি। 

রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এতো দূরবস্থা কেন

রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এতো দূরবস্থা কেন

আমরা যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ি তখন একটি সিনেমার গান খুব হিট করেছিল, সিনেমার নামটি সম্ভবত ‘অশিক্ষিত’। নায়িকা গ্রাম থেকে ঢাকার সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়েছে। গানটি ছিলো ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে, লাল লাল নীল নীল বাতি দেইখা পড়ান জুড়াইছে-----মাটি ফাইটা বৃষ্টির পানি ঝরঝড়াইয়া পড়ে, আজব এই শহরে।’ আজব এই শহর! একবার একজন এনজিও নেতা বলেছিলেন, নারী পল্লীতে অপুষ্টিতে ভোগা মেয়েরা ঠোটে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে পুরুষ আকর্ষণের চেষ্টা করে কিন্তু তাদের শরীরে রয়েছে অপুষ্টির ছাপ। ঢাকা সিটির সেই সময়কার সাজানোকে অপুষ্টিতে ভোগা মেয়েদের ঠোটের লাল লিপস্টিকের সাথে তুলনা করেছিলেন উক্ত এনজিও কর্মী, আমরা তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবেমাত্র বেরিয়েছি। এ সব কিছুই এখন পুরনো কথা। ঢাকায় শুধু লাল লাল নীল নীল বাতি নয়,  এখানে রয়েছে  হাজার হাজার কোটি টাকার ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল। নির্মাণ করা হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সিটির অনেক রাস্তাই এখন অর্ধ পশ্চিমা দেশের মতো, রয়েছে শত শত  মাল্টিস্টোরাইজ বিল্ডিং। গ্রামের অবস্থাও আগের মতো নেই। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে অনেক। এসব পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে একটি জায়গায় কিন্তু সেভাবে পরিবর্তন আসেনি, আর সেটি হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাক্ষেত্রে সুষম উন্নয়ন হয়নি। 

৩৬ হাজার পরীক্ষার্থীর দায় কার

৩৬ হাজার পরীক্ষার্থীর দায় কার

পদ্মার ওপারে মাদারীপুরে ৭০ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ও সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক। ১৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইনস্টিটিউট হয়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতীক। ৪১ তলার টাওয়ার হবে সেখানে, যেখান থেকে তৈরি হবে বিশ্বমানের প্রযুক্তিবিদ। আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের প্রথম জুডিসিয়ারি একাডেমিও হবে শিবচরে। এ নিয়ে গত কয়েকমাসে সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের শিবচরে গমন ও তাদের বক্তব্য আমাদের আশাবাদী করে। কিন্তু এর সাথে আরেকটি খবর শিক্ষা বিশ্লেষক ও গবেষকদের ভাবায়। পাশের জেলা শরীয়তপুরের এ বছরের এসএসসিতে ২০৫ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসেননি, যাদের অধিকাংশের পেছনে রয়েছে বাল্যবিয়ের গল্প। 

মাধ্যমিক শিক্ষকদের অনুমোদনহীন ছুটি ও মাউশির উদ্যোগ

মাধ্যমিক শিক্ষকদের অনুমোদনহীন ছুটি ও মাউশির উদ্যোগ

সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। যৌক্তিক কারণে শিক্ষকদের মধ্যে এক দু’জনকে ছুটিতে থাকতে হলেই নিয়মিত শ্রেণিকার্যক্রম ব্যাহত হয়। হাতে গোনা দু’একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়তো একটু বেশি শিক্ষক আছেন কিন্তু অধিকাংশ বিদ্যালয়েই কাটায় কাটায় কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে আবার কিছু শিক্ষকদের অনুমোদনহীন ছুটি কাটানোর প্রবণতা বেড়েছে। এতে একদিকে যেমন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ব্যাহত হচেছ, তেমনি শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি তৈরি হচেছ। করোনার পর থেকে শিক্ষকদের অনুপস্থিতির প্রবণতা বেড়েছে। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চলে এ সমস্যা বেশি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়