দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ম্যানার শিখানো নাম করে দীর্ঘদিন ধরে যে অত্যাচার-নির্যাতনের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা প্রতিরোধে ‘সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তারা গত এক দশক কিংবা তারও আগ থেকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হওয়া শিক্ষার্থীদের গল্প প্রকাশ করবে। একইসঙ্গে সংগঠনটি এসব ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করবে। গত শনিবার রাতে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মানবাধিকার সংগঠনটি যাত্রা শুরু করছে। এ সময় সংগঠনটির রিসার্চ এন্ড ইভালুয়েশন ডিরেক্টর শিব্বির আহমেদ সংগঠনটির পক্ষে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও মানবাধিকার কর্মী জনাব নুর খান লিটন। বক্তব্য রাখেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদসহ ক্যাম্পাসে নির্যাতিত কিছু ভিক্টিম। সোচ্চারের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সংগঠনটির আরেক নির্বাহী পরিচালক রাহনুমা সিদ্দিকি।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির রিসার্চ এন্ড ইভালুয়েশন ডিরেক্টর শিব্বির আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে নির্যাতিতদের না বলা গল্পগুলো নীরবতা ভেঙ্গে আমরা সামনে নিয়ে আসতে চাই এবং তাদের গল্পগুলো আমরা শেয়ার করতে চাই। গত এক দশক ধরে কিংবা তারও আগে যারা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের গল্পগুলো আমরা সোচ্চারে প্রকাশ করবো। একইসঙ্গে সংগঠনটি এসব ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্যাতিতরাএকদিন না একদিন এসব ঘটনার বিচার পাবেন।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, সংগঠনটির কাজের পরিধি আরো বড়ো। তবে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাস টর্চারের ভিক্টিমদের পাশে দাঁড়ানো, টর্চার বন্ধে অ্যাডভোকেসি করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনটির পথ চলার সূচনা হচ্ছে।