কেন্দুয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাবু উত্তম কুমার আগামী মে মাসে অবসর নিতে যাচ্ছেন। এরপর ওই শূন্যপদ পূরণের জন্য যদি মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ পদে কাউকে নিয়োগ না দেয়া হয়, তবে মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সিনিয়রিটি হিসেবে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার হতে পারেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে যোগদানের আগেই এই শিক্ষককে নিয়ে কলেজের ভেতর ও বাইরেসহ সব মহলে চলছে জোর আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এমনও আলোচনা হচ্ছে- যদি জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক পদে নিয়োগ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি গড়ে তোলা হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কলেজের একজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বিএনপি-জামাত জোটের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি কলেজে অনেক ভালো কর্মকান্ডে কখনো কখনো বাঁধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমালোচনা করেছেন কলেজ ও সরকারের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নকালীন তিনি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ সব বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বলেন, উত্তম কুমার কর অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে গেলে যদি মন্ত্রাণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেন. সেক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষের সিনিয়রিটি হিসেবে আমার নামটি আসে। তাই যারা আমাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন, তা প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই। আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই জড়িত না। যারা আমাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন, তারা এর কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।
অধ্যক্ষ উত্তম কুমার কর বলেন, আগামী মাসে আমি অবসরে যাবো। অধ্যক্ষ পদে কাকে দায়িত্ব দেয়া হবে সেটা মন্ত্রাণালয়ের কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন। আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। তবে এখানে যদি পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে ধারাবাহিক নিয়মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হবে।
