নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক বা স্বল্প বেতনে শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে তার বাস ভবনে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিজ ক্রিস্টিন ব্লখুস-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মিজ ক্রিস্টিন বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক বা স্বল্প বেতনে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হলে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ কমে আসবে, নারী-পুরুষের জীবন যাত্রার মান আরো বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই উন্নয়নের পথ আরো সুগম হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উদ্যোগগুলো কার্যকর হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ বেড়েছে এবং বাল্য বিবাহের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন প্রতিনিধি দল।
বাধ্যতামূলক ন্যূনতম বিদ্যালয়ে পাঠদানের বয়স নিম্ন মাধ্যমিক করতে পারলে অনেক অর্জন আরো সহজ হবে এবং স্মার্ট প্রজন্ম তৈরির পথ সুগম হবে বলে মতামত দেন প্রতিনিধিদল।
সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টে মাসাকি ওয়াটাবে, ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশের এডোলেসেন্ট অ্যান্ড ইয়থ-এর চীফ মিজ ড. ইলিজা আজাই, ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশের এডোলেসেন্ট অ্যান্ড ইয়থ-এর প্রোগ্রাম এনালিস্ট মি. ড. মো. মুনির হোসাইন প্রমুখ।