বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন থেকে এনবিআরের কাছে আসন্ন বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ডিউটি কমানোর একটি প্রস্তাব দিয়েছি, যেনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ডিউটি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে, সাধারণ মানুষের যেনো কষ্ট না হয়। ‘প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি অবগত। অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক কিন্তু এখনও নেই। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক যেনো আমাদের ওপর বোঝা না হয়, সে চেষ্টা বাজেটের আগে আমাদের থাকবে,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে রাজধানীর বারিধারা পার্ক থেকে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রির এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি প্রমাণিত যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সিন্ডিকেট করা সম্ভব হবে না। টিসিবির মাধ্যমে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বাফার স্টক করার জন্য কাজ করছি, যেখানে এক-দেড় মাসের পণ্য স্টক রাখা সম্ভব হবে। আবার অনেক আগের মতো পণ্যগুলো রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে দেয়ার চিন্তাভাবনাও আমরা করছি।
তিনি বলেন, আগামীতে টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে আরো নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করা হবে। ডিলারের সংখ্যা বাড়িয়ে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত টিসিবির দোকান প্রতিষ্ঠা করা হবে।
টিসিবি কার্ডধারীরা এই কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারছেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।