ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

গাড়িতেই হেলিপ্যাড আর সুইমিং পুল

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

গাড়িতেই হেলিপ্যাড আর সুইমিং পুল

দৈর্ঘ্যের দিক থেকে সবচেয়ে লম্বা গাড়ি হিসাবে গিনেস বুকে নাম তুলে নজির গড়েছে ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’। আশির দশকে এই গাড়িটি তৈরি করা হয়। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে গিনেস বুকে দীর্ঘতম গাড়ি হিসাবে নজির গড়ে সেটি।

১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ক্যালিফোর্নিয়ার বারবাঙ্কে তৈরি করা হয় লিমো ক্যাডিলাক এলডোরাডোস। বিশেষ বরাত দিয়ে এই গাড়িটি তৈরি করান জে ওহরবার্গ।

এই লিমোর দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ ফুট। ২৪ চাকার এই গাড়ির সামনে এবং পেছনের দিকে এক জোড়া ভি৮ ইঞ্জিন বসানো ছিলো।
নব্বইয়ের দশকে হলিউডের বহু ছবিতে দীর্ঘতম লিমোর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে লিমোর ব্যবহার কমে যেতে থাকে। গাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর খরচ হতো। এমনকি এত লম্বা গাড়ি পার্কিংয়ের অসুবিধাও হতে শুরু করে। পড়ে থাকতে থাকতে এক সময় ভগ্নাবশেষে পরিণত হয় গাড়িটি।

জিনিসপত্র বিক্রির একটি ওয়েবসাইটে পুরনো লিমো গাড়িটির খোঁজ পান নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ম্যানিং। কিন্তু গাড়িটি কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা তাঁর কাছে ছিলো না। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর একটি গাড়ি সংগ্রহশালার মালিক মাইকেল ডেজ়ার গাড়িটি ম্যানিংয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে কেনেন।

পুরনো লিমো গাড়িটি আবার নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ম্যানিং এবং মাইকেল। গাড়িটি দু’ভাগে ভাগ করে অরল্যান্ডো পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গাড়ি নির্মাণকারীদের একটি দল নিয়ে হাজির হন ম্যানিংও। 

তিন বছর ধরে পুরনো লিমো গাড়িটির ভোলবদল করেন ম্যানিং। পুরনো গাড়ির আসন থেকে শুরু করে ড্যাশবোর্ড-সহ আরও অনেক কিছু খুলে ফেলেন তিনি। অন্য পুরনো গাড়ির অংশ লিমোর সঙ্গে জুড়ে দেন ম্যানিং এবং তাঁর দল।
লিমো গাড়িটি নতুন করে তৈরি করতে তার দৈর্ঘ্যও বাড়িয়ে ফেলেন ম্যানিং। নীল তিমির দৈর্ঘ্য সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ ফুট পর্যন্ত হয়। ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’-এর দৈর্ঘ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ ফুট দেড় ইঞ্চিতে।

গাড়ি বিশেষজ্ঞদের দাবি, পর পর ছ’টি হন্ডা সিটি সেডান গাড়ি দাঁড় করানোর পর সেগুলির পাশে ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’ রাখলে দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে লিমো গাড়িটি।

ভোলবদল হওয়া লিমো গাড়িটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়ির নজির গড়েছে। গাড়ির সামনের দিকে তিন জোড়া, মাঝখানে চার জোড়া এবং পিছনের দিকে পাঁচ জোড়া চাকা রয়েছে। ২৪টি চাকাযুক্ত এই গাড়ির ওজন ৯ হাজার কিলোগ্রামেরও বেশি।

‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’-এর ওজন বজায় রাখতে লোহার তৈরি বার ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়ির চালকের আসনে দরজা খুলে বসতে গেলেই এই ধরনের বার নজরে পড়ে।

‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’ গাড়ির ভিতর একসঙ্গে ৭৫ জন বসতে পারেন। গাড়ির ভেতরে রয়েছে বাথটাব, একাধিক টেলিভিশন সেট, রেফ্রিজ়ারেটর, বসার জন্য আরামদায়ক সোফা।

পেছনের দিকের দরজা দিয়ে গাড়ির ভেতর বসতে চাইলে সেই দরজা রিমোট দিয়ে খুলতে হয়। স্লাইডিং পদ্ধতির মাধ্যমে সেই দরজা খোলাবন্ধ হয়।

‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’ গাড়িটির পেছনে রয়েছে একটি হেলিপ্যাড। খুব সহজেই এই হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারে।

হেলিপ্যাডের সামনের দিকে রয়েছে ছোট সুইমিং পুল। অন্তত দুই থেকে চার জন এই পুলের ভেতর একসঙ্গে নামতে পারেন।

সুইমিং পুলের সামনে রয়েছে খেলার জায়গা। কেউ চাইলে সুইমিং পুল থেকে উঠে আসার পর সেই ফাঁকা জায়গায় বসে বিশ্রামও নিতে পারেন।

তবে ভোলবদল করার পরেও ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’কে রাস্তায় চালানো যাবে না বলেই জানিয়েছেন ম্যানিং। বর্তমানে অরল্যান্ডোর একটি সংগ্রহশালায় গাড়িটি রাখা রয়েছে, যেখানে সারা বিশ্বের অনন্য এবং বিরল গাড়ি সংগ্রহ করে রাখা হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার 

জনপ্রিয়