সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের উপরেও বর্তায়। তাদের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে। গত সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফ সদস্যের গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশিদের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। বিএসএফ যেন নির্যাতন আর মৃত্যুর নির্মম খড়গ। তাদের মনে জেগে রয়েছে কেবল হত্যার উল্লাস। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দখলদার আওয়ামী সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফের বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে পারেনি। আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক সোমবার নিহত হাসান মিয়াসহ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয় দাবি করে রিজভী বলেন, প্রচলিত ফৌজদারি, দেওয়ানীসহ সব আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেন শেখ হাসিনা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লাখ লাখ নেতা-কর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোন যায় আসে না। তাঁর সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই যে রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে, তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারা নির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে।