ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ , ৬ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ভুল প্রশ্নে পাবলিক পরীক্ষা

বেতন বন্ধ হচ্ছে সব শিক্ষকের 

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

বেতন বন্ধ হচ্ছে সব শিক্ষকের 

পরীক্ষা দাখিলের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের দেয়া হয় বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্ন। বরগুনা আমতলী উপজেলার বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসায় চলতি বছরের দাখিলের কৃষি শিক্ষা পরীক্ষায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে মাদরাসার অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধের বিষয়ে ভাবছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে শোকজ নোটিশ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ইউনুস হাওলাদারকে পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, শোকজের জবাব ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, গত ১৭ মে ওই মাদরাসায় দাখিলের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্ন দেয়া হয়। যা পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের করা তদন্ত প্রতিবেদন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত রোববার ওই মাদরাসার অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেলে এমপিও স্থগিত করার বিধান আছে। তাই ওই মাদরাসাকে শোকজ করা হয়েছে। অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও কেনো স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে শোকজে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্বে অবহেলা কখনোই কাম্য নয়। এতে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। যেদিনের পরীক্ষা ওইদিন প্রশ্ন জেলা পর্যায় থেকে নিয়ে এসে পরীক্ষা নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ওই মাদরাসার পরীক্ষা কমিটি দায়িত্বে অবহেলা করায় এমনটি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে। তার জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাদের যাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বেতন স্থগিত বা বন্ধ করা হতে পারে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ইউনুস হাওলাদার একজন ইসলামি বক্তাও। তিনি বেশিরভাগ সময় ওয়াজ মাহফিল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজে তারা মনযোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাদরাসাটির অধ্যক্ষ ইউনুস হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জনপ্রিয়