পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে একজন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
দেলাওয়ারের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ মোস্তফা কামাল। গত ১১ জুন মাউশি অধিদপ্তরের পাঠানো অভিযোগ প্রভাষক দেলাওয়ারকে অন্যত্র বদলিরও অনুরোধ করেছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের কাছে।
তবে, এসব অভিযোগ ও বদলির অনুরোধ অধ্যক্ষ তার ‘ব্যক্তিগত রেশ’ থেকে করেছেন মর্মে দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে দাবি করেছেন প্রভাষক দেলাওয়ার।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দেলাওয়ারের অবাধ্য আচরণ কর্তৃপক্ষের অসন্তুষ্টির কারণ হয়েছেন। তিনি সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। অধ্যক্ষের বিভিন্ন যৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সহকর্মীদের সম্মুখে সমালোচনা করেন।
আরো বলা হয়েছে, প্রভাষক দেলাওয়ার বিভিন্ন সময়ে কলেজের বহিরাগত লোকদের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উস্কে দেন। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালনকালে কক্ষ ছেড়ে কলেজের বাইরে চলে যান এবং দীর্ঘ সময় বাইরে কাটিয়ে আসেন। তিনি সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে যথাসময়ে পরীক্ষা কক্ষে উপস্থিত হননি এবং একটি নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও তার স্বভাবের কোনো পরিবর্তন করা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিতভাবে তার জবাব চাওয়া হলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন।
অধ্যক্ষ আবেদনে আরও লিখেছেন, এমতাবস্থায় ওই শিক্ষককে কলেজে রাখলে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে। তাই তাকে বরিশাল এর বাইরে অন্য কোথাও অতি দ্রুত বদলি করা হোক।
দৈনিক আমাদের বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, আবেদন করেছি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।
অভিযুক্ত প্রভাষক মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, অধ্যক্ষ স্যারকে সালাম দেই। কিন্তু উনি শুনতে না পাওয়ায় এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। গত মে মাসে একটি লিখিত নোটিশের জবাব দেই। কিন্তু এমন অভিযোগ ব্যক্তিগত আক্রোশে করেছেন।