ঢাকা বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩ , ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ আর্কাইভস ই পেপার

Udvash
Retina
Retina
Udvash
Retina
Retina

করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

কোভিড

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৪:৫৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

সর্বশেষ

করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন দেখা দিয়েছে, এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

রোববার সকালে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সন্দেহ হলে করোনা টেস্ট করানো হবে।

ডা. আহেমদুল কবীর বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে। কেননা করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক সকলকে মাস্ক পরাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরও বেশি সুসজ্জিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে বেশি রোগী সেখানে ভর্তি ও সেবা নিশ্চিত করা যায়। করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে গেলেও যাতে চিকিৎসা সংকট না দেখা দেয় সে কারণে দেশের সবগুলো হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া নতুন এ উপধরনের উপসর্গ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণের জন্য দু-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির মিটিং হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর তা মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে। 

করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। এরই মধ্যে ভারতসহ ৯১টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।

সম্প্রতি চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরপরই প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি দেশবাসীকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভাইরাসটির জিন বিশ্লেষণ করারও কথা বলেছেন।

জনপ্রিয়