আমদানি করা একাধিক প্লাস্টিক পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, দেশে নির্মিত প্লাস্টিক শিল্পকারখানাগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে সক্ষম। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে উল্লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বিপিজিএমইএসহ একাধিক সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমদানি করা প্লাস্টিক পাইপ, টিউব, হোসে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, প্যালেটস, ক্রেট, টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল প্রভৃতি পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল ও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
একই সঙ্গে আমদানি করা খেলনার ট্যারিফ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া পণ্য বিক্রির ওপর ৭ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কর্তন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে রপ্তানির সক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সব স্থানীয় ক্রয়কে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বিজিএপিএমইএ।
বিজিএপিএমইএ তাদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জানিয়েছে, ভ্যাট আইনে সব ক্রয়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান অফিস পরিচালনার জন্য স্টেশনারিসহ বেশকিছু দ্রব্যসামগ্রী স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করে। এসব ক্রয় প্রকারান্তরে উৎপাদন ও রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর রপ্তানি সেক্টরকে সরাসরি কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার সুযোগ থাকবে না।
বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাব শুনে তা যাচাই-বাছাই করে পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।