সপ্তাহ দুয়েক বাদেই পবিত্র মাহে রমজান। কিন্তু সিয়াম সাধনার পবিত্র এ মাসটি এলেই যেন বেশি সংযম হারান এদেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের ইচ্ছেমতো দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের। ব্যতিক্রম চোখে পড়ছে না এবারও। রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার সবকিছুর দামেই আগুন লেগে গেছে ইতোমধ্যে।
এরই মধ্যে আগামী রোববার পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে গরুর মাংসের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর কোনও বাজারেই ৭৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না গরুর মাংস।
তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে মুরগির দাম। একই বাজারে পাশাপাশি দোকানে ১০-২০ টাকার তারতম্য দেখা যাচ্ছে দামে। কোথাও ২০০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না ব্রয়লার মুরগি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কেজি প্রতি দাম চাওয়া হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে।
দামের এই ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির দাম বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে। কেনা দাম বেশি পড়ায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরকার সম্প্রতি চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমালেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। রোজায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্য খেজুর এখন বিক্রি হচ্ছে বিলাসী পণ্যের দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে রোজায় বিঘ্ন ঘটতে পারে চিনি ও খেজুর সরবরাহে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।