ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আমদানিকারকরা বেনাপোল ছেড়ে ভোমরা বন্দরমুখী 

অর্থনীতি

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ৩১ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৭:৪১, ৩১ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

আমদানিকারকরা বেনাপোল ছেড়ে ভোমরা বন্দরমুখী 

সম্প্রতি দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে কমেছে ফল আমদানি। মূলত ওজন স্কেলের কারসাজি এর মূল কারণ। যে কারণে এখন বেশিরভাগ আমদানিকারক বেনাপোল ছেড়ে বর্তমানে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন। 

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরে ডিজিটাল ওয়েট স্কেল অপরদিকে ভোমরা বন্দরে ব্যবহার করা হচ্ছে ম্যানুয়াল ওজন স্কেল। সেক্ষেত্রে ওজনের একটা বিরাট তারতম্য ঘটানো সম্ভব হয়, সেখানে ওজন করার ক্ষেত্রে। আর এটি লুফে নেন আমদানিকারকরা। কারণ, এই ওজন স্কেলের মাধ্যমে তারা আমদানিকৃত পণ্যের বিরাট অঙ্কের শুল্ক ফাঁকি দিতে সক্ষম হচ্ছেন। আর এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত খোদ ভোমরা স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল স্থলবন্দরের একজন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি অত্যন্ত কম হচ্ছে। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫০-৬০ ট্রাক ফল আমদানি হতো, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩-৪ ট্রাক। এ ফলে সরকার মোটা অঙ্কের শুল্ক হারাচ্ছে। অপরদিকে, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০-৫০ ট্রাক ফল আমদানি করা হচ্ছে।

আমদানিকারকরা এই বন্দর ব্যবহারের ফলে ট্রাকপ্রতি দেড় থেকে দুই টনের বেশি শুল্ক ফাঁকির সুযোগ পাচ্ছেন। সে কারণে তারা এই বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাজী এক্সিমের স্বত্বাধিকারী গাজী শামিম উদ্দিন বলেন, ‘গত এক মাসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি হচ্ছে না বললেই চলে। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় বেশিরভাগ আমদানিকারক ভোমরা বন্দর ব্যবহার করছেন। এভাবে চলতে থাকলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে যে রাজস্ব আদায়ের সুনাম আছে, তা ম্লান হয়ে যাবে।’

এসব বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভোমরা বন্দর এখন পর্যন্ত একমাত্র স্বচ্ছ বন্দর।’

জনপ্রিয়