
বৈশাখের প্রথম দিন থেকে চালের বস্তায় জাত ও মূল্য লেখার নির্দেশনা থাকলেও বাজারে এখনও সেই বস্তা মিলছে না। রাজধানীর বাজারগুলোতে যেসব চাল বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর কোনো বস্তাতেই জাত ও মূল্য বসেনি। এখনো ‘আগের চালই’ বিক্রি কথা বলছেন বিক্রেতারা।
আর খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন নির্দেশনা সম্বলিত চাল ঢাকার বাজারে আসতে লেগে যেতে পারে মাসখানেক। গত বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার, বাবু বাজার ও কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোম্পানির চালেই জাত ও মূল্য লেখা নেই। বোরো মৌসুমের নতুন চাল বাজারে এলে সেগুলোর বস্তার গায়ে সরকারের নির্দেশনা মানার কথা বলছেন চালকল মালিকরা।
চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করে মাস দুয়েক আগে যে পরিপত্র জারি করা হয়, তা কার্যকর হয়েছে পহেলা বৈশাখ থেকে।
গত ১৩ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় সেই পরিপত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। উল্লেখ করতে হবে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থানও (জেলা ও উপজেলা)। ওজনের তথ্যও থাকতে হবে।
চালের বস্তার গায়ে জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখার নির্দেশনা না মানলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।