ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের অনেক সম্ভাবনা 

অর্থনীতি

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের অনেক সম্ভাবনা 

কাতারের ভোক্তা বাজার ক্ষুদ্র হওয়ায় বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা কম থাকলেও বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ আর্কষণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ও কাতারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। এই পণ্যগুলো বাংলাদেশ কাতার থেকে আমদানি করে থাকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিলো প্রায় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি করা হয় ২৩৬৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

কাতারের ভোক্তা বাজারের আকার ক্ষুদ্র হওয়ায় সেখানে ভোগ্য পণ্য রপ্তানির সুযোগও কম। ফলে বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হতে পারে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলেন, কাতারের জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে মূলত দেশের বাইরে তাদের যে বিনিয়োগ রয়েছে তার দক্ষতার ওপর।

কিভাবে কাতারের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আনা যায়- সেদিকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত সোমবার ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ১১ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর মধ্যে দ্বৈতকর পরিহার, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। এসব চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে কাতারের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন দেশের ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কাতার থেকে আমরা মূলত জ্বালানি, সার বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করি। সেই তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ খুবই নগন্য। কাতারের ভোক্তা বাজার ছোট। সুতরাং আমরা যেসব ভোগ্যপণ্য তৈরি করি, সেগুলো সেখানে রপ্তানির সুযোগও কম। তবে কনস্ট্রাকশনসহ আরো বেশ কিছু সেবা খাতে আমাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে- যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।
 

জনপ্রিয়