দেশের যেকোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত সোমবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং এ বিষয়ে সরকার কী কাজ করছে, তা নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত ১১টি বিষয়ে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের প্রশ্ন ছিলো। তাদের প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার (থ্রেসহোল্ড) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য কত শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন সেটা নিয়ে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এটা ৩০ শতাংশ ছিলো। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে তা ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তখন বলা হয়েছিলো, এটা আমরা আরো কমাবো, তবে সেটা ধীরে ধীরে। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিলো, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। সেই সীমাও উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই সংশোধনী পাস হলে সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থ্রেসহোল্ড প্রযোজ্য হবে। বাজেট অধিবেশনে শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, শ্রম আইনটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না। বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাসে লিনা খানসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।