ঢাকার সাভারে চামড়ার ট্যানারিগুলো স্থানান্তরের পর প্রাণহীন হয়ে পড়ে হাজারীবাগ। তবে বর্তমানে বদলাচ্ছে দৃশ্যপট। চামড়াজাত পণ্যের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ফের চেনা রূপে ফিরছে হাজারীবাগ। পরিশোধিত চামড়া সাভার থেকে এনে এখানে তৈরি হচ্ছে জুতা, ব্যাগ, মানিব্যাগসহ নানা রকম চামড়াজাত পণ্য। হাজারীবাগের চামড়াজাত পণ্যের দোকানগুলোয় বছরে ৭০-৮০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। পণ্যের মানোন্নয়ন, বহুমুখীকরণ এবং উদ্যোক্তা-কর্মীর দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্লাস্টার ম্যাপিং স্টাডি অনুযায়ী রাজধানীর হাজারীবাগে পুরনো ট্যানারি পল্লীতে গড়ে ওঠে লেদার ক্লাস্টার। হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় থেকে লেদার টেকনোলজি কলেজ পর্যন্ত হাজারীবাগ বাজার, ধানমন্ডির ৮ নম্বর (নতুন) বাসস্ট্যান্ড গলিসহ পুরো এলাকায় ৪০০-৫০০ দোকান, শোরুম ও চামড়াজাত পণ্যের ছোট কারখানা রয়েছে। হাজারীবাগের ছোট ছোট চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন কারখানা থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে দেশের বাইরেও।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০০ কোটি ডলারের বেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে দেশ থেকে। আগামীতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না। এজন্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।