চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সীমিত সরঞ্জাম ও অবকাঠামো নিয়ে উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে আয় করছে ১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৫৫ শতাংশ কার্গো হ্যান্ডলিং হয় এই টার্মিনাল ব্যবহার করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বার্ষিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১১ লাখ টিইইউ। যদিও এই টার্মিনালে বছরে ১৩ লাখ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ৪ হাজার কোটি ব্যয়ে এনসিটি নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে বন্দরের দৃশ্যপট।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের আগে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাস এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং পরিস্থিতি বর্তমানের তুলনায় ছিলো ভিন্ন। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে একটি জাহাজ ভিড়তে বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষায় থাকতো গড়ে ১০ থেকে ১২ দিন। প্রতিদিন বিলম্বের জন্য আকার ভেদে প্রতিটি জাহাজকে ড্যামারেজ বাবদ গুনতে হতো ১২ থেকে ২০ হাজার ডলার। এতে বেড়ে যেতো ব্যবসার খরচ, পণ্য পরিবহন ব্যয়। বাড়তি এই শিপিং ড্যামারেজের কারণে বেড়ে যেতো পণ্যের দাম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অধুনিক নানান যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে।’