‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালুর শুরুতেই টাকার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিসহ মুদ্রাস্ফীতি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশের বড় আমদানিকারকরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ পদক্ষেপের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে এ পদ্ধতি চালু করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকরা।
আইএমএফের চাওয়া অনুযায়ী বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার জন্যই মূলত ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন দেশের রপ্তানিকারকরা।
শীর্ষ পর্যায়ের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের পরিচালক ও বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপটিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। কারণ এতে রপ্তানিতে সুযোগ আরো বাড়বে। বায়ারদের সঙ্গে দরকষাকষির জায়গায় আরো ভালো অবস্থানে যাওয়া যাবে। তবে প্রত্যাশা থাকবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়ে মানুষের জীবনধারণে খরচ যেনো না বাড়ে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলে আশা রাখছি।’