অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। গণমাধ্যমকে এক ব্রিফিংয়ে অর্থনৈতিক সহায়তার এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এর আগে বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল- এ দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন। এই প্রেক্ষাপটে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয়টি সফরের মধ্য দিয়ে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিলো তা স্মরণ করে লি কিয়াং বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপনের ওপর দুই নেতাই গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় লি কিয়াংকে বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ওষুধ ও সিরামিক পণ্য আমদানির অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা। জবাবে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আরো পণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বজুড়ে মানবতা সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।