ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জবিতে ১৩ কোটি টাকার অনিয়ম

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, জবি

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

জবিতে ১৩ কোটি টাকার অনিয়ম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ১৩টি আপত্তির বিপরীতে ১৩ কোটি ২৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।  এর মধ্যে সাধারণ আপত্তি ৭টি, আর অগ্রিম আপত্তি ৬টি। অগ্রিম আপত্তির ৬টিতে ৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং সাধারণ আপত্তির ৭টিতে জড়িত টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৮ লাখ ৯১ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

জানা যায়, ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের তথ্যের ভিত্তিতে। ওই সময় দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৫৩টি। এর মধ্যে ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অর্থবছরে মোট ১ হাজার ২৭৬ কোটি ২৫ লাখ ২২ হাজার টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি আর্থিক অনিয়মের তথ্য পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদফতর। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম হয়েছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের অডিট শাখা কর্তৃক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বিএসআর-এর ওপর লিখিত মন্তব্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অডিট অধিদফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণের বিবরণী থেকে এই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অডিট আপত্তি দেখানো হয়েছে, সেটি ২০২০-২০২১ খ্রিষ্টাব্দের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

অডিট আপত্তির বিষয়ে জবির অর্থ পরিচালক ড. মো. মহসিন রেজা বলেন, আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি। ২০২০-২০২১ সালের ওপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। অডিট আপত্তির বিষয় সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করছি। ইউজিসি যেসব আপত্তি জানিয়েছে সেসসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেসব বাজেট দেয়া হয় সেগুলো ব্যয় করার জন্য নির্ধারিত খাত থাকে। এখন আমরা আমাদের বাজেট অংশ নির্ধারিত খাতের বিপরীতে ব্যবহার করি অন্য কাজ সমাধানের জন্য।  

ইউজিসি বলে, যে খাতে যতো টাকা দেয়া হয় সেটুকু অংশ ব্যবহার করতে। এর বিপরীতে অন্য খাতে ব্যবহার করলে ইউজিসি আপত্তি জানায়। এখানে যে অন্যায় হয়েছে বিষয়টি এমনও না। এরকম সমন্বয় করতে গিয়ে ইউজিসি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা নির্ধারণের জন্য অডিট আপত্তি প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবগুলো সঠিকভাবে ব্যয় নির্বাহ করার জন্য এসব অডিটগুলো হয়। আমাদের এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। রাজস্ব খাতে ব্যবহার করার জন্য যে টাকা আসে সে খাত কিছু অংশ আমরা আন্তখাতে সমন্বয় করে থাকি। এখন এই সমন্বয়গুলো করতে গিয়ে ইউজিসি অডিট আপত্তি জানায়।

আমাদের এখানে অধিকাংশ কর্মচারী ডেইলি বেসিসে কাজ করে। এখন এসব জনবলের জন্য বাজেটের কোনো অংশ রাখা যায় না এবং এই কর্মচারীরা ইউজিসির অধিভুক্ত হয়নি। এদেরকে বেতন দিয়ে রাখতে হয়। ইউজিসি কোন কোন খাতে আপত্তি জানিয়েছে সেটি আমি জানার চেষ্টা করছি। এর বাহিরে কোনো আর্থিক অনিয়ম হলে আমি খতিয়ে দেখবো।

জনপ্রিয়