ঢাকা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ , ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, কুবি

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৪ মে ২০২৪

সর্বশেষ

এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন

গুচ্ছভুক্ত সারা দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত শুক্রবার ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় সিট প্ল্যান ছাড়াই গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের বসানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় দায়ভার নিচ্ছেন না কেউই। শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিযোগ, উপাচার্যের নির্দেশেই অনভিজ্ঞ এবং জুনিয়র শিক্ষকদেরকে এই দায়িত্ব দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার মতো একটি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

 সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব সেমিনার লাইব্রেরিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। এ সময় দেখা যায় সেখানে একেক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছেন। এ ছাড়া প্রশাসনিক ভবনের হল রুমেও এবার ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পূর্বের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আসন বিন্যাস করা হয়েছিলো।

এদিকে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক। কিন্তু সিট প্ল্যানের জন্য ‘কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে আলাদা একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই আসন বিন্যাসের ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে। 

এ বিষয়ে কেন্দ্র ব্যবস্থা কমিটির সদস্য সচিব আবু ওবায়দা রাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমন অদ্ভুত আসন বিন্যাসের দায়ভার তিনি নেবেন কিনা, সেই প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজে কোনো দায় না নিয়ে কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, এবার আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে। সেজন্যই সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতেও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এছাড়া এই অল্পসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য আরেকটা কেন্দ্র ব্যবস্থা করা কঠিন ছিলো।  এক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন একসঙ্গে পরীক্ষা দিলে সেখানে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের শিক্ষকরা দায়িত্বে ছিলেন। তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন। এখন যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পরবর্তীতে এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আমরা আর পরীক্ষা নেয়া হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবির বলেন, আসন বিন্যাস কমিটির আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত ছিলো। ভবিষ্যতে আমরা এটাকে বিবেচনায় নিয়ে এরকম গাদাগাদি যেন আর না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জনপ্রিয়