ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্কুলপর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

শিক্ষা

আমাদের বার্তা ডেস্ক 

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৫ মে ২০২৪

সর্বশেষ

পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্কুলপর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

দৌলতপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পরিবর্তন-খুলনার আয়োজনে এবং আমেরিকান কর্নারের সহযোগিতায় বুধবার সকালে পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক ছাত্রী এই ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুখসানা নাছরিন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক অসিত রায়, শিরিন পারভীন, পরিবর্তন-খুলনার সমন্বয়কারী তানজিম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমন্বয়কারী পরিবর্তন-খুলনার শংকর রঞ্জন সবকার। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের বাংলাদেশের পরিবেশ কয়েক বছর ধরে চরম বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। পরিবেশের বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী নানা ধরনের উপাদানের কারণে বর্তমানে আমাদের পরিবেশ এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। দিন যতোই গড়িয়ে যাচ্ছে, ততোই প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রকৃতির ওপর। নানামুখী চাপে আজ পরিবেশ বিপর্যস্ত। তার মধ্যে রয়েছে আবার আমাদের হাতে পরিবেশ ধ্বংসকারী নানান প্রকারের বস্তু, যেমন প্লাস্টিক, পলিথিন, পানি শোষণকারী বিদেশি জাতের পরিবেশ ধ্বংসকারী বিভিন্ন রকম গাছ, কার্বন নিঃসরণকারী নানামুখী প্রকল্প, গাড়ির কালো ধোঁয়াসহ আরো বিভিন্ন উপাদান। আর এ সবকিছুর মধ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে অপচনশীল বস্তু, যেমন প্লাস্টিকের বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পলিথিন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই প্লাস্টিক ও পলিথিন যতোভাবেই প্রক্রিয়া করা হোক না কেন, তা সহজে পচন হয় না। এই বস্তু যদি মাটির নিচে পড়ে, তাহলে ওখানে পচতে সময় লাগবে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ বছর। এই যদি হয় পরিস্থিতি, তাহলে মাটির নিচে গেলেও এই পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মাটির স্বাভাবিক স্তরকে ধ্বংস করছে। তাই এখনই প্রয়োজন নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা। এর উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্যবহারকারী পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অবৈধ পলিথিন কারখানা সিলগালা করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজ বা পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা গেলে হয়তো পাটকলগুলোকে রক্ষা করা যাবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদনের যথার্থতা নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো কঠোর হতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
 

জনপ্রিয়