বছরের পর বছর একই টুথব্রাশ ব্যবহার করেন এমন অনেকেই আছেন । ব্রাশ একেবারে ব্যবহারের অযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত তা বদলানোর কথা মাথায় আসে না। দাঁতের গঠন ও দাঁতের উজ্জ্বলতা নিয়ে সবাই যতটা চিন্তিত, দাঁত পরিষ্কার করার টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন। নিয়ম করে দু’বেলা দাঁতলেই মনে করেন দাঁতের যত্ন নেওয়ার কাজ করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দাঁতের অযত্ন থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে পারে কেবল দাঁতের অযত্ন থেকে। অনেকেই হয়তো জানেন না, দাঁতের অযত্নের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করা।
ত মাজার ব্রাশ কত দিন পর পর বদলানো প্রয়োজন?
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন বলছে, প্রতি দু’ থেকে তিন মাস পর পর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত। তবে কী ভাবে ব্যবহীর করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে সময় কমেও আসতে পারে। তবে কোনও ভাবেই তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ছাড়াও কোনও অসুস্থতা, বিশেষ করে ভাইরাল রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলা জরুরি। ভাইরাল জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে।
ব্রাশের যত্ন নেবেন যেভাবে?
১. প্রায় বেশির ভাগ বাড়িতেই সব সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এই ভাবে ব্রাশ রাখলে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে ব্রাশে অবশ্যই ঢাকনা পরিয়ে রাখুন।
২. বেসিনের পাশে কিংবা গোসলখানার ব্রাশ রাখাও ভালো অভ্যাস নয়। এই ধরনের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তাই অনেকটাই বেশি।
৩. ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত এক বার ব্যবহার করার আগে উষ্ণ পানিতে ব্রাশ ধুয়ে নিন। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমবে। এ ছাড়া, মাউথ ওয়াশ জাতীয় দ্রবণে দুই মিনিট চুবিয়ে রাখলেও জীবাণুমুক্ত হবে ব্রাশ।