ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আগামী ৪ মাসে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে: গণশিক্ষা সচিব

জাতীয়

আমাদের বার্তা, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

আগামী ৪ মাসে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে: গণশিক্ষা সচিব

আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়ন কাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়া আরো সাত হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্য একটু নজরদারি বাড়ানো উচিত। সমন্বয় ও কাজের তদারকির জায়গায় সমাধান আনতে পারলে যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে চলমান গুণাগুণের সঙ্গে সংগতি রেখে আগামীতে শিক্ষায় আরো মানসম্মত উন্নয়নে কাজ করবো। 

গত রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ এসব কথা বলেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষে এ কর্মশালায় নেপের কর্মকর্তাসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, পিটিআই, এলজিইডি, ডিপিএইচইর কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, ইতোপূর্বে সাতটি বিভাগে আমরা গিয়েছি, তারই ধারাবাহিকতায় এবার ময়মনসিংহে। গতবছর প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি অনেকটা ভালো ছিলো। কিন্তু এ বছর কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ কর্মশালার মাধ্যমে কাজের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে চাই। ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এডিবি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রথম সারিতে। প্রায় সব ডেভলপমেন্ট পার্টনার প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে কাজ করছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় যথেষ্ট অবকাঠামোর কাজ হয়েছে। 

সচিব আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সারা দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩১। আমরা আশাবাদী ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই এ অনুপাত ১:৩০ হবে। 

তিনি আরো বলেন, ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন অন্যতম উপাদান। আর এই স্মার্ট সিটিজেন তৈরির আঁতুড় ঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তিনি শিক্ষকদের উদারচিত্তে শিক্ষাদানের আহ্বান জানান। এছাড়াও কর্মশালায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়ালসহ অনেকে।

জনপ্রিয়