ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

তীব্র গরমে বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ, অনেকটাই ফাঁকা ঢাকার রাজপথ

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ২১ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

তীব্র গরমে বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ, অনেকটাই ফাঁকা ঢাকার রাজপথ

তীব্র খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ, জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। রোদের প্রখরতা এতই প্রখর যে বাইরে গরমের মধ্যে টেকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। তাই ঢাকার অলিগলি ও কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে লোকসমাগম বেশ কম দেখা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর প্রধানতম সড়ক বা পয়েন্টগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, এই রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা যায় না। একটা কাজ ছিল তাই বের হয়েছি, শেষ করেই বাসায় ফিরব।

বেসরকারি চাকরিজীবী রায়হান বলেন, পেটের দায়ে এমন গরমের মধ্যে বের হতে হয়। বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে তো মনে হয় স্ট্রোক করবো।

বাইরে লোকজন কম বের হওয়ায় বিক্রিবাট্টা কমেছে এলাকাভিত্তিক দোকানগুলোতে। মোহাম্মদপুর বসিলা রোডের চা বিক্রেতা বিল্লাল বলেন, এই গরমে কেউ চা খেতে আসে না। দু-একজন আসে আরকি...। কেউ কেউ এসে ঠান্ডা পানি বা কোক খায়।

মুদি দোকানিরা বলছেন, ভরদুপুরে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। মূলত সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সমাগম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

ঢাকা উদ্যানে অবস্থিত জিহান জেনারেল স্টোরের মালিক বলেন, প্রচণ্ড রোদে মানুষজন বা কাস্টমাররা খুব একটা বের হয় না। আগে এ সময়ে যে বিক্রিটা হতো, সেটি কমে গেছে। তবে, সন্ধ্যার পর বেচাবিক্রি বাড়ে।

গরমের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে ঢাকার গণপরিবহনেও। সাধারণত সবসময়ই ঢাকার বাসগুলোতে যাত্রীর আধিক্য দেখা যায়। তবে, আজ দুপুরের দিকে বেশিরভাগ বাসই প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। 

যাত্রীরা বলছেন, গরমে বাসের ভেতর হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই বিকল্প উপায়ে বা রোদ চড়া হওয়ার আগেই গন্তব্যে পৌঁছান। দুপুরের সময় প্র‍য়োজন ব্যতীত কেউ বাসে চড়ছেন না।

উত্তরাগামী বিকাশ পরিবহনের যাত্রী শেখ শামসুল বলেন, গরমে বাস জার্নি করা কষ্টকর। তবুও যেতে হবে বলে চড়েছি, এখন জ্যামে না পড়লেই বাঁচি।

বাসটির হেলপার বলেন, মূলত গরমের কারণেই বাসে যাত্রীর পরিমাণ কমে গেছে। ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই বাসে না চড়ে সিএনজি বা মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। 

এছাড়া, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

জনপ্রিয়