রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বন বিভাগের ‘ভুল’ টেন্ডারে রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় করেছেন ঠিকাদার। টেন্ডারে দেয়া কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে অন্যত্র। এ ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে জেলা বন কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাবে উপজেলা সাবেক বন কর্মকর্তা ‘ভুল’ স্বীকার করেন। এরপর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউপির ছয়গ্রাম থেকে তিলাহারী হয়ে কেশরহাট যাতায়াতের রাস্তার দু-ধারের মাঝারি বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছে থাকা টেন্ডারের কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, উপজেলার ধুরইল ইউপির “খানপুর নেয়াবজানের বাড়ির উত্তর সীমানা হতে খানপুর সুইসগেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বাঁধ বাগান (অংশ)” মোট পাঁচ লটে টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার ঠিকানা বদলে অন্য এই রাস্তাটির গাছ কেটে সাবাড় করছেন। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে কয়েকজন প্রতিনিধি পাঠান।
প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণ করে সাংবাদিকদের জানান, টেন্ডারের ঠিকানা ‘ভুল’ হয়েছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমসিম খেয়ে যান তারা। উত্তরে বেশ গড়মিলও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের টেন্ডারে এতো বড় ‘ভুল’ ধরা পরে।
এ বিষয়ে সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্ বলেন, এটা একটা মিস আন্ডারস্ট্যাংডিং হয়েছে। পরবর্তীতে সেটা সংশোধন করা হয়েছে। একারণে আমি আমার সেকেন্ড ম্যানকে পাঠিয়েছিলাম। পরে ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৫০ টাকার ৫ লটের টেন্ডারের কাগজপত্র সংশোধন করা হয়েছে। তবে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।