ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

শিক্ষাবোর্ডের সনদ বাণিজ্য দুই জনের দোষ স্বীকার 

জাতীয়

আদালত প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

শিক্ষাবোর্ডের সনদ বাণিজ্য দুই জনের দোষ স্বীকার 

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- মাকসুদুর রহমান মামুন এবং সরদার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম জন যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক। দ্বিতীয় জন হিলফুল ফুজুল নামে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল। 

গতকাল সোমবার বিকেলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছাস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

সংশ্লিষ্ট মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত মাকসুদুর রহমান মামুনের ও আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালত সরদার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠে জাল সনদের সঙ্গে চেয়ারম্যানসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কয়েকজন জড়িত রয়েছে। গতকাল ২২ এপ্রিল তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

এর আগে গত ৩০ মার্চ রাতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তার নাম। দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধানরা এতে জড়িত বলে জানা যায়। গত ১ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

গত রোববার প্রকাশিত তদন্তকারী সংস্থার জেরার এক ভিডিয়োতে দেখা যায়, সনদ বাণিজ্যের খবর চাপা দিতে ঘুষ নেয়া সাংবাদিকদের নাম জানাচ্ছেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। 

তিনি জানান, দৈনিক কালের কণ্ঠের শিক্ষা রিপোর্টার শরীফুল আলম সুমন নিয়েছেন ৮ লাখ। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের শিক্ষা সাংবাদিক নিজামুল হক ৬ লাখ, দৈনিক সমকালের শিক্ষা সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজ ৫ লাখ, বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসির মাহমুদ সোহেল সাড়ে ৪ লাখ, এশিয়ান টিভির জাকির হোসেন পাটোয়ারি ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। 

এছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিকদের মধ্যে হাসমত বিভিন্ন সময়ে মোট ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। রুবেল নামে আর এক সাংবাদিক বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বলেও টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন কারিগরি বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট। 

তিনি বলেন, এসব সাংবাদিক রিপোর্ট করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। তাদের টাকা দেয়ার পর রিপোর্ট হতো না। তারা অন্য সাংবাদিকদেরও ম্যানেজ করতেন।    

প্রসঙ্গত, জাল সার্টিফিকেট প্রিন্ট ও বিক্রির অভিযোগে গত ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের সই করা অফিস আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

তাকে গ্রেফতারের পর মহানগর পুলিশ জানায়, বিপুল সংখ্যক অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর পীরের বাগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের বাসায় অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। 

তারপর  অবৈধ সনদ বিক্রির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তার তদন্ত শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রী  মহিবুল হাসান চৌধুরী তখন বলেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে বলে আমাদের ধারণা। জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। 

জনপ্রিয়