শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই বলে দাবি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ দাবি করেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো শিশু শ্রমিক দেখা যায়- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে একজন কাজের ছেলে রেখেছেন বা মেয়ে রেখেছেন। গরিব ঘরের সন্তানকে গ্যারেজে কাজ শেখানোর জন্য দিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে সে হয়তো পরিবারের হাল ধরবে। এরকম অনেক ব্যাপার আছে। এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ নিলেও অনেক সময় বন্ধ করা সম্ভব হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশু শ্রম নেই।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রথম শ্রম সেক্টরে ঈদের আগে অন্যান্য বছর যেভাবে অরাজকতা হতো, সড়ক অবরোধ করতো, সেটা হয়নি। আগে মালিক-শ্রমিক একটা বৈরি সম্পর্ক ছিলো। আমরা এখানে কনফারেন্স রুমে বসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যাগুলো টেবিলেই সমাধান করেছি। শ্রমিকদের পাওনা বেতন-বোনাস ছুটির আগেই তাদের দিতে সক্ষম হয়েছি।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মালিকদের সমস্যা ছিলো, সরকারের কাছে কিছু ইনসেনটিভ পাওনা ছিলো, সেগুলো তাদের পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যার কারণে শ্রমিকদের পাওনা যথাযথ সময়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এবার শ্রমিকরা সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন।
এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন বাংলাদেশ রেটিফাই করেছে। এটি বাস্তবায়নে শতভাগ চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের বিষয়টি একটু উচ্চাভিলাসী। আমরা বলছি, যতো দ্রুত সম্ভব আমরা করবো। এ বিষয়ে প্রকল্পের আওতায় আমরা ইতোমধ্যে এক লাখ ৯০ হাজার শিশুকে শ্রম থেকে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শিশুশ্রম নিরসনে মালিকদের সচেতন করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মালিকরা খুব দ্রুত এটা থেকে সরে আসবেন।