ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ , ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত: যুক্তরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০১:৩০, ৩ মে ২০২৪

সর্বশেষ

আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত: যুক্তরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা

মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশসহ অন্যদের ‘সবক’ না দিয়ে আগে নিজ দেশের দিকে নজর দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষের বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ এবং ‘গণহত্যা’ চালাতে ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্র জোগান দেয়ারও সমালোচনা করেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারপ্রধান। সেখানেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ আসে।

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে দুই বাংলাদেশির নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশে যে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গুলি করে সাধারণ-নিরীহ মানুষগুলিকে হত্যা করা হচ্ছে, এটাতো তাদের দেখা উচিত। নিজের ঘরকে আগে সামলানো উচিত।

গুলিতে এবং ছুরিকাঘাতের বিভিন্ন ঘটনায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলেতো ভর দুপুরে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদে জানানো হবে কি না, সেই প্রশ্ন রাখা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, অলরেডি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে, সেখানে আমাদের আওয়ামী লীগ খুব সোচ্চার আছে, আমাদের সহযোগী সংগঠন, এটার প্রতিবাদতো আমরা সবসময় করেই যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু প্রবাসী বাঙালি না, আমেরিকায়তো প্রতিনিয়ত মানুষ খুন করার একটা… ঘরের ভেতরে একটা বাচ্চা ছেলেকে মা ধরে রেখেছে, তাকে গুলি করে মেরে ফেলে দিল। তার অপরাধটা কী ছিল? তার হাতে একটা কাঁচি ছিল। সেই কাঁচির ভয়ে তাকে গুলি করে মারা হল। সেটা সে হয়ত খেলাধুলা বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করছিল। একজন পঙ্গু, হাঁটতে পারে না, চলতেও পারে না, সে নাকি প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে, ওই অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করল। আর স্কুল, বিভিন্ন শপিং মলে, রেস্তোরাঁয় অনবরত গুলি হচ্ছে, আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নাই বোধহয়, আমেরিকায় গুলি করে মানুষ না মারছে।

অন্য জায়গায় মানবাধিকারের কথা বলেও ফিলিস্তিনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দুমুখো’ নীতির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এটাতো আমারও প্রশ্ন। এই প্রশ্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা করে আসছি। যে দুমুখো নীতি কিসের জন্য?  মানুষ খুন করলে, তারপর তাদেরকে টাকাও দেওয়া হয়, অস্ত্রও দেওয়া হয় মানুষ হত্যায়। অপর জায়গায় দেখা গেল, মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার।

নিজে ভুক্তভোগী হওয়ার কারণে সবসময় যুদ্ধের বিপক্ষে থাকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি নিজে দেখেছি। আমরা বন্দিখানায় ছিলাম আর শরণার্থী হিসাবে ছিলাম। আমি যেখানে সুযোগ পাই, আমার নিজের অভিজ্ঞতা ধরেই আমি মানুষকে বোঝানোর চষ্টা করি, কেন আমি এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। কেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব সমাধান করতে পারি না।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন সমাধান করতে পেরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বাংলাদেশের জোরালো অবস্থানের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিষয়েতো বললাম, আমরা সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আছি। এবং আমি যেখানেই যাই, আমার কথা আমি বলবই। কারণ, সেখানে যেভাবে গণহত্যা চলছে, এটা অমানবিক।

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ দমনের বলপ্রয়োগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আজকে ৯০০ ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক থেকে শুরু করে সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে এই আন্দোলন করার জন্য একমাত্র আমেরিকায়। আর এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ। সেটাও আমাদের শুনতে হয়। যেভাবে একজন অধ্যাপককে জাপটে ধরে, মাটিতে ফেলে হ্যান্ডকাফ পরানো হল…।

ফিলিস্তিনের শিশু-নারীদের জন্য তৃতীয় দফায় সহযোগিতা পাঠানোর প্রস্তুতি চলার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সবসময় তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। যেখানে নির্যাতিত মানুষ, সেখানে বাংলাদেশ আছে, এটা আমি প্রমাণ করতে পারি।

জনপ্রিয়