তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যে সব সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন তারা যদি কোনো প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।
সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরো জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।