ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

মা-বোনের বিরুদ্ধে ছোট বোনের তিন মামলা

ট্রান্সকমে সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

ট্রান্সকমে সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি

দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন ও মাসহ ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন। শাযরেহের বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকমের বর্তমান সিইও। তার মা শাহনাজ রহমান গ্রুপটির বর্তমান চেয়ারম্যান। দুটি মামলায় শাহনাজের নাম রয়েছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, সিমিন রহমান বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও দলিল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শাযরেহ ও তার প্রয়াত ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। ওই সম্পত্তির মূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।

শাযরেহ এর দাবি, তার বাবা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও এফডিআরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে মারা যান। ওই অর্থের নমিনি ছিলেন তার মা শাহনাজ রহমান। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই লতিফুর রহমান মারা যাওয়ার পর ওই টাকা তার উত্তরাধিকারীদের (ওয়ারিশ) মধ্যে বণ্টন করে দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার বাবার মৃত্যুর পর তার বড় বোন (সিমিন) সব টাকা নিজের ও তার মায়ের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন।

শাযরেহ আরো দাবি করেছেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৩ আগস্ট তার বড় বোন ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্সের ১৮ শতাংশ শেয়ার ওই ১০০ কোটি টাকা থেকে ৬০ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়ার বাহানায় নিজের নামে হস্তান্তর করেন। তার বোন ও মা পরস্পরের যোগসাজশে লতিফুরের অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের বঞ্চিত করে এই কাজ করেছেন।

আরেক মামলায় শাযরেহ দাবি করেছেন, তার বোন ট্রান্সকমের আরো চার কর্মকর্তার সহযোগিতায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তিনটি ফর্ম ১১৭ (হস্তান্তর দলিল) তৈরি করে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) জমা দিয়ে বেআইনিভাবে ট্রান্সকমের বেশিরভাগ শেয়ারের মালিকানা নিয়ে নিয়েছেন। এই

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিলো যে তার বাবা তাকে ও তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ৪ হাজার ২৭০টি করে শেয়ার এবং তার বোনকে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু বাদী কখনই হস্তান্তর দলিলে (ফর্ম ১১৭) স্বাক্ষর করেননি। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনো হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি। আসামিরা এসব নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন।

আরেকটি মামলায় শাযরেহ দাবি করেছেন, তার মা ও বোন ট্রান্সকমের অন্য তিন কর্মকর্তার সহযোগিতায় তার (শাযরেহ) এবং তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ডিড অভ সেটেলমেন্ট (মীমাংসার দলিল) তৈরি করেছেন।

পরে ওই ডিড অভ সেটেলমেন্ট ব্যবহার করে সিমিন ও শাহনাজ ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার নিজেদের নামে হস্তগত করাসহ গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর পদ নিজেদের নামে করে নিয়েছেন।

শাযরেহ দাবি করেছেন, তিনি কখনো তার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে ডিড অব সেটেলমেন্ট করেননি। তিনটি মামলার মধ্যে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর নিম্নলিখিত ধারাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: ৪০৬, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭০ ও ৪৭১। ৪০৬ নং ধারাটি বিশ্বাসের ফৌজদারি লঙ্ঘন; এ অপরাধের শাস্তি তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ই। শাযরেহ হক তার মা ও বোন দুজনকেই এ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি তাদের উভয়কে প্রতারণা (৪১৯); মূল্যবান জামানত, উইল ইত্যাদি জালিয়াতির জন্য জাল সীলমোহর তৈরি (৪৬৭); প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি (৪৬৮), জাল দলিল (৪৭০) এবং জাল দলিলকে খাঁটি দলিলরূপে ব্যবহার (৪৭১) করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

 

জনপ্রিয়