ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক আর নেই

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২৩:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক আর নেই

রাজনীতি বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও সময়ের স্বর বইয়ের লেখক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যরা তার মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে দেশের একমাত্র শিক্ষাবিষয়ক ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও প্রিন্ট জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তা পরিবার। 

তিনি শিক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সময়ের স্বর, নেতা, টুকে রাখা কথামালাসহ পাঠকপ্রিয় কয়েকটি বইয়ের লেখক তিনি।

উল্লেখ্য, পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝিতে পিরোজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণকারী লেখক মনোয়ারুল হক-এর বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ঢাকা শহরে। তদানীন্তন সেন্ট্রাল গভমেন্ট স্কুল তারপরে জগন্নাথ এবং নটরডেম কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেন। 

১৯৭০-এর গণ-আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কিশোর বয়সের সম্পৃক্ততা এবং ঘটনাবলি দ্বারা নানানভাবে প্রভাবিত- মনোয়ারুল হকের মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ১৯৬৯- এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্ধুদের সঙ্গে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলো। ১৯৬৯-১৯৭১ সময়কাল জীবনের ওপরের প্রভাব সৃষ্টি করেছিরো ফলে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র থাকাকালীন সময়ে গভীরভাবে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পরিণতিতে নিয়মিত শিক্ষাজীবনে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং এই পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি না হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৫ খি্রষ্টাব্দে ছাত্রজীবন শুরু করেন।

প্রথমদিকে নিজেকে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক কোর্সে মনোযোগের সঙ্গে অংশ নেয়া শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৭- এর সামরিক সরকার দেশে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের সামরিক জেনারেল টিক্কা খানের মনোনীত উপাচার্য ডক্টর আব্দুল বারীকে ১৯৭৭- এর জুন মাসে পুনর্নিয়োগ দিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। 

ফলে গড়ে ওঠে উপাচার্য ডক্টর আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন। ডক্টর আব্দুল বারীর অপসারণের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দশ-বারোজন ছাত্রকে সে সময়ের সামরিক শাসক ১৯৭৮/৭৯ খ্রিষ্টাব্দের দীর্ঘ সময় বিনা বিচারে কারাগারে আটক রাখে- মনোয়ারুল হক তাদেরই একজন। 

বছরের অধিককাল কারাগারে আটক থাকার পরে কারাগার থেকে থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পদার্থবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে রাজনৈতিক জীবনের সংশ্লিষ্টতা পরিহার করে ব্যক্তি জীবনে প্রবেশ করেন এবং মনোয়ারুল হক পেশা হিসেবে ব্যবসা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হন। 

দীর্ঘ সময় ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জীবন এবং সমাজের নানান ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আহরিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে লিখে গেছেন কয়েকটি বই।

জনপ্রিয়