জাতীয় নির্বাচনের থেকেও উপজেলা নির্বাচনে বেশি ভোটার থাকবে। সেটা বড় একটা পার্সেন্টেজ (শতাংশ) হতে পারে। সম্প্রতি কয়েকটি নির্বাচনে তাপপ্রবাহের মধ্যেও ব্যাপক ভোটার উপস্থিত ছিলো। এসব নির্বাচনে ৭৯ পার্সেন্ট (শতাংশ) পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কারো আত্মীয়-স্বজনের বিষয়ে আইনে বলা নেই। আইনে বলা আছে, যিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং যিনি ভোটে অংশগ্রহণের যোগ্যতা সম্পন্ন, তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমরা গোয়েন্দা মাধ্যমে যে তথ্য পাই, তাতে তেমন সমস্যা দেখি না। দু-একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন সমস্যা রয়েছে, তা আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। যদি বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে আমরা তা মেনে নেবো না। আমরা নির্বাচন স্থগিত করা, প্রার্থিতা বাতিল করার ব্যবস্থাও নিতে পারি।
এর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান। এ সময় তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং নির্বাচনের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।