টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের টাকায় ভাগ বসালেন টুঙ্গিপাড়ার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদুর রহমান।
জানা যায়, গতকাল বুধবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেড়াইলকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন ৬ জন সরকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ১২ জন পোলিং অফিসার।
নির্বাচন শেষে প্রত্যেক সরকারি প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্বাচনের প্রশিক্ষণ ও যাতায়াত বাবদ এবং নির্বাচন কেন্দ্রে ডিউটির জন্য ৭ হাজার ৩৮০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তাদের প্রত্যেককে তিনি ১৮০ টাকা কেটে রেখে ৭ হাজার ২০০ টাকা দেন।
অন্যদিকে প্রত্যেক পোলিং অফিসারকে ৫ হাজার ৪৯০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ২৪০ টাকা কেটে রেখে ৫ হাজার ২৫০ টাকা দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এসব অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি তার স্বেচ্ছাচারিতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে বলেন, তিনি ভীষণ অর্থলোভী, তার দপ্তরে গেলে টাকা না দিয়ে কোন কাজ করানো সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ভুলবশত টাকা কেটে রাখা হয়েছে। আমি এসব টাকা তাদেরকে ফেরত দেবো। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ বদর উদ্দিন বলেন, এসব টাকা কেটে রাখার কোন সুযোগ নেই।