ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

শ্যালকের কাণ্ডে বিব্রত প্রতিমন্ত্রী

যে ব্যবস্থা নেবো তা মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হবে

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

যে ব্যবস্থা নেবো তা মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হবে

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’

দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে দেখতে আসেন সিংড়ার সংসদ সদস্য জুনাইদ আহ্‌মেদ।

গত সোমবার পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে নাটোর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর ভাইসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে দুর্বৃত্তরা দেলোয়ার হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তাঁর সহযোগীরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। লুৎফুল হাবীব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদের শ্যালক।

 

গতকাল সকালে জুনাইদ আহ্‌মেদ উড়োজাহাজে করে রাজশাহী বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে সকাল নয়টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে। এ সময় তাঁর সঙ্গে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ছিলেন। তিনি প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। তিনি অসুস্থ দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে তাঁর শরীরের খোঁজখবর নেন এবং সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।

পরে প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের নিচতলার করিডরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশে ছিলাম। বৃহস্পতিবার রাত একটায় দেশে ফিরেছি। তবে বিদেশে থেকেও ঘটনার সব সময় খোঁজখবর নিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি নাটোরের মাটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার খোঁজখবর রাখছেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে। কেউ ছাড়া পাবে না।’

ওই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও নির্বাচনের প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ হয়ে তাঁরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘লুৎফুল হাবীব আমার আত্মীয় তা অস্বীকার করব না। তবে আত্মীয়তার সুবাদে বা রাজনৈতিক কারণে সে বা অন্য কেউ বাড়তি সুবিধা পাবেন না। বরং এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা এমপি–মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা দলের পক্ষ থেকেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’


 

জনপ্রিয়